ভারতের একটি রিয়িলিটি মিউজিক শো থেকে উঠে আসেন সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য এই শিল্পীকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা থামছেই না। তবে গান দিয়ে যে শিল্পীর জন্ম এবার সেই ‘গান বাজনা’ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন তিনি। আর তার পরেই এক পোস্টে বলেন, ‘আমি জন্মগতভাবে বেয়াদব।’
পোস্টে নোবেল লেখেন, ‘আমি গায়ক! গান গেয়ে জী’বিকা নির্বাহ করি। নকল ভদ্রতা ‘বিক্রি করে নয়। জি! জন্মগতভাবে আমি বেয়াদব!’
এরই কিছুক্ষণ আগে আরেক পোস্টে নোবেল লিখেছেন, ‘গান-বাজনাকে ইতি। মেহেরবান রিলিজ হইলে হইলো, না হইলে নাই। কিন্তু যারা আমা’র পেছনে লাগতেছে, এগু’লারে দেখব আজকের থেকে। বেয়াদব না? ঠিকাছে। সিনিয়র জুনিয়র, সব। আসো খেলি! গোপ’ালীর খেল শুরু। শালা বিএনপি তাই না? দেখি কেমনে টিকিস।’
ভারতের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিয়ালিটি শোতে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের উঠতি তরুণ সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। বিতর্ক ছড়িয়ে নোবেল কিছুদিন আগেও লিখেছেন, ‘তোমা’দের কারণেই আমি নোবেল। তোমা’দের ছাড়া আমি কিছুই না। কিচ্ছু না! জিরো! জাস্ট জিরো।’
নোবেলের একচ্ছত্র আধিপত্য তৈরি হয়েছিল দুই বাংলার সংগীতাঙ্গনে। সে জায়গায় চিড় ধরেছে। তবে এমনটা হবে তা বোধ হয় আঁচ করতে পারেননি নোবেল। বিতর্ক তার ছায়াসঙ্গী। কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আবার কখনো তার ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক প্রেম ও মেয়েদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি।
চলতি বছরের শুরুতেও অনুত’প্ত হয়ে নোবেল লিখেছিলেন, ‘এত যে হেটার্স হেটার্স করো! আসলে এরা কারা’? দিন শেষে সাউন্ডটেক চ্যানেল হোক, আর নোবেল ম্যান চ্যানেল হোক, এরা আমা’র গান কিন্তু টুকটাক শোনে। সেই অধিকারের জায়গা থেকে একটা আবদার করি ভাই-বোন-মা-বাবা, বাদ দাও না এবার।’
নোবেল বলেন, ‘আমি জানি আমা’র মতো দু-চারটা নোবেল না থাকলে সংগীত জগতের কিচ্ছু আসবে যাব’ে না। তবে আরেকটা সুযোগ চাই। বিশ্বা’স রাখো, আমা’র কাছে বাংলা গানকে দেওয়ার মতো কিছু হলেও আছে। তবে কি এবার ঘৃণার সাগরের স্নানটা শেষ করে একটু ভালোবাসা দেওয়া যায় না? আর কিচ্ছু চাই না আমি, একটু ভালোবাসা ছাড়া। আর কত ক’ষ্ট দিবা? আমিও তো মানুষ।’